রৌমারী প্রতিনিধি: ১১.১০.১৯ঃ
রৌমারীতে রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীকে মারধর দোকান ভাংচুরের ঘটনায় বাজারের সকল দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করেছে বাজার বণিক সমিতির লোকজন। বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে রৌমারী বাজার বণিক সমিতির সকল সদস্য একত্রিত হয়ে রৌমারী বাজারের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, রৌমারী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি আবু তাহা, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ফুলু, প্রমূখ।
আহত ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম মন্ডল জানান, আমার দোকানের সামনে টিনের চালা তুলতে চায় ফুল মিয়া নামের এক পান দোকানদার আমি চালা তৈরী করতে বাধা দেই। পরে ফুল মিয়া ছাত্রলীগের সহসভাপতি মারুফ শিক্তকে ঘটনাটি জানালে শিক্তের নেতৃত্বে মিষ্টার, সেতু, ফরহাদ, বিপ্লব, রকিব, বেলাল, নাহিদ, সাজেদুল, সাকিরুলসহ ২৫/৩০ জনের একটি গ্রুফ ডেকে নিয়ে আসে আমার দোকানে প্রথমে তারা জিপসাম আমার চোখে জিমসার ছিটিয়ে দিয়ে। পরে আমাকে এলোপাতারী ভাবে লোহার লট দিয়ে পিটায়। এসময় তারা আমার চাচাসহ কয়েকজন পিটিয়ে আহত করে।
রৌমারী বাজারে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩ দফা মহড়া দিয়ে ব্যবাসীদের মাঝে প্রথমে ত্রাসের সৃষ্টি করে ওই গ্রুপটি। পরে পুলিশ এলে পালিয়ে যায় তারা। অভিযুক্ত মারুফ শিক্ত বলেন, একটি গরীব ছেলের পান দোকান ছিল ওই রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে। তিনি রাতের অন্ধকারে ওই পান দোকানীর ডালা ও মালামাল মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পিছনে ফেলে দিয়ে আসেন। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের ছেলেদেরকেই মারধর করে তারা।
এ বিষয়ে রৌমারী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে জানানো হয়েছে। চলতি মাসের ১৫তারিখ তিনি এলাকায় এসে আমাদের নিয়ে বসতে চেয়েছেন। তাই এর আগে ব্যবসায়ীরা আর কোনো আন্দোলন করবে না।
রৌমারী থানার ওসি হাসান ইনাম বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়েছিল এখন শান্ত। আর এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।