নিষ্ঠুরতার মূর্ত রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে টিকিরি
গত ৭ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই শ্রীলঙ্কায় উদযাপন করা হয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উৎসব পেরাহেরা। মোট ৬০টি হাতির মাঝে ছিল টিকিরিও। তবে জাঁকজমকপূর্ণ সাজ আর উৎসব আনন্দের মধ্যে তাকে আলাদা করে লক্ষ্য করার অবকাশ ছিল না।
দশ দিনব্যাপী উৎসবে পরিবেশন করা হয় নাচ, গান এবং সার্কাস। সেভ এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশন টিকিরির ছবি প্রকাশ করলে এই নিষ্ঠুরতা সবার নজরে আসে।
পরে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়। সংস্থাটি জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত টিকিরিকে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে হতো। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, আশীর্বাদের প্রতীক হাতি। তাই প্রতিরাতে টিকিরিকে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হাঁটতে হতো। জাঁকজমকপূর্ণ সাজের আড়ালে লুকিয়ে ছিল তার কঙ্কালসার শরীর। কেউ দেখেনি তার চোখে জল। কেউ দেখেনি হাঁটতে গিয়ে তার পা কাঁপছে।
সেভ এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সংস্থা। দীর্ঘ দিন ধরে এশিয়া মহাদেশে হাতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি।
আরেকটি বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড এনিম্যাল প্রোটেকশান একটি জরিপের তথ্য দিয়ে জানায়, এশিয়া মহাদেশে তিন হাজার হাতি বিনোদনে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে শতকরা ৭৭ ভাগ হাতি মানুষের নিষ্ঠুর আচরণের শিকার। প্রতিবছর থাইল্যান্ডে ৮০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান বেড়াতে যান। সেখানে পর্যটক আকর্ষণে হাতি ব্যবহার করা হয়। দেখানো হয় হাতির সার্কাস। রয়েছে হাতির পিঠে ভ্রমণ এবং হাতিকে খেতে দেওয়ার সুযোগ।
কার্টেসীঃ সারাবাংলা