চৈতেরখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির চেক জালকরাসহ একাধিক অভিযোগ

হুমায়ুন কবির সূর্য্য

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম সদরের চৈতেরখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ একাধিক অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৯নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে অভিযোগের কপি হস্তান্তর করে সাংবাদিকদের কাছে একাধিক অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে ওই প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বদলীর দাবী করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম।

আব্দুল হাকিম জানান, সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতার খামার গ্রামে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্বেও জাতীয় দিবসগুলো পালন করেন না। এসএমসি ও মা সভাবেশের মত গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলো না করা। অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি আদায় করা। বিদ্যালয় ভবন ধান ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেয়া। দেরীতে বিদ্যালয়ে আসা এবং বেলা ২টার পর ত্যাগ করা। এছাড়াও বিদ্যালয়ে ২/৩দিন উপস্থিত না থেকেও দপ্তরীকে দিয়ে হাজিরা খাতা বাসায় নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করা। স্কুলের উন্নয়নে স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ দায়সারা কাজ করে আত্মসাৎ করা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালের ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ ও রুটিন মেরামতকরণের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজ আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে মাসিক বিবরণী জমা প্রদান ও চেকে স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দরখাস্তে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ প্রধান শিক্ষকের বদলীর আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ৪৪ জন অভিভাবকের স্বাক্ষর ছিল।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে চৈতেরখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক জানান, বিদ্যালয়ের বিপরীতে বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ অনৈতিকভাবে আদায় করতে না পেরে আমার সুনাম বিনষ্ট করার নিমিত্তে ডাহা মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম স্বীকার করেন, আমার দপ্তরে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। দুদিন অফিস বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় চালু হলেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *