জলেশ্বরী

নারীবাদ: বোঝা ও বোঝাপড়া (পর্ব-০২)

শারমিন শামস্।।

গোঁড়ার গল্প

আঠার শতকের শুরুর দিক। নারী প্রাকৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক সাংস্কৃতিকভাবে পুরুষের নিচে- এই চিন্তাটি তখন আরো গভীরভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল সে সময়ের খ্রিষ্টান চার্চের শিক্ষা, যারা নারীকে বলত ‘Weaker vessel’। এরকম একটা সময়েই পশ্চিমে ‘নারীবাদ’ (Feminism) শব্দটা বেশ জানান দিয়ে উচ্চারিত হতে শুরু করল।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছিল তখন। বহু শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে লাগল। তৈরি হল মধ্যবিত্ত শ্রেণি। নারীর জীবনে বড় ধরণের পরিবর্তন আসতে শুরু করল। লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক ভূমিকাগুলোও জোরেশোরে নির্ধারিত হতে লাগল। রাজনীতি, রাষ্ট্রপরিচালনা, অর্থনীতি- সব পুরুষের কাজ বলে বিবেচিত হল। আর নারীকে বলা হল ঘরে থাকতে এবং সন্তান পালন ও গেরস্থালীর সব দায়িত্ব পালন করতে। তাকে বাদ রাখা হল সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনগত অধিকার ও ক্ষমতার বাইরে।

এক সময় ছাপাখানার আবিস্কারে নতুন দিনের সূচনা ঘটলো বলা যায়। নতুন চিন্তা ও নানামুখী সাহিত্যের জন্য বিশাল দরজা খুলে গেল। সামাজিক নানা বাধার পরেও শিক্ষিত নারীরা তাদের চিন্তাভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করতে শুরু করলেন এবং নারীবাদ সংক্রান্ত চিন্তা এর একটা বিরাট অংশ জুড়ে ছিল।

আঠারশ’র মাঝামাঝি সময়ে নারীবাদ নিয়ে কিছু লেখা প্রকাশিত হতে লাগল সুইডেন থেকে। Margareta Momma এবং কবি Hedvig Nordenflycht নারীর আইনগত অধিকার নিয়ে লিখতে শুরু করলেন।

ব্রিটেনে আরেকটু আগেই নারীবাদ আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছিল। সেখানে সতেরশ’র গোঁড়ার দিকেই Mary Asrell কথা বলতে শুরু করেছেন। তার বই Some reflections on marriage বইতে তিনি বললেন, ঈশ্বর নারী ও পুরুষকে একই পরিমান বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গড়েছেন।

পরবর্তীতে প্রায় একই কথা বলেছিলেন আমেরিকান নারী অধিকার কর্মী Judith Sargent Murray। ১৭৯০ এ, তার On the equality of the sexes প্রবন্ধে তিনি লিখলেন, নারীও পুরুষের মতই বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।

১৭৫০ এর দিকে ইউরোপের শিক্ষিত সচেতন নারীরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করলেন। তারা নিজেদের চিন্তা ভাবনা পরস্পরের সাথে ভাগ করতে লাগলেন।

এদিকে ১৭৩৪ এ সুইডিশ সিভিল কোর্ট একটি আদেশ দিলেন, অনুমতি ছাড়া কোন স্বামী তার স্ত্রীর সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না। নারীর আইনগত অধিকারের ক্ষেত্রে এটি সেসময় একটি আলোচিত আদেশ ছিল।

আঠার শতকে আমেরিকা ও ফ্রান্সের বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন নারীবাদের প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। ওদিকে ফরাসী দার্শনিক Jean Jacques Rousseau এবং Denis Diderot স্বাধীনতা ও সাম্যের বিরুদ্ধে যায়, এমন নানান সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করলেন, তর্ক করলেন – Right for Men এর পক্ষে, কিন্তু এসবের মধ্যে তারা অবধারিতভাবে নারীর অধিকারকে অন্তর্ভূক্ত করলেন না।

আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীরাও সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে পশ্চিমের নারীরা তাদের অধিকারের কথা জোর গলায় বলতে শুরু করল। ১৭৯২ এ ব্রিটিশ নারীবাদী লেখক Mary Wollstonecraft লিখলেন তার আলোচিত বই- A Vindication of the rights of woman। তিনি নারীর শিক্ষা ও ঘরের বাইরে কাজ করার অধিকারের দাবি তুললেন।

এ পর্যন্ত নারী অধিকার নিয়ে যারা কথা বলছিলেন, তারা ছিলেন মূলত শিক্ষিত ও সমাজের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা নারী। উনিশ শতকে নারীবাদ বিস্তৃত হল শ্রমজীবী নারীর ভেতরেও, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের শ্রমজীবী নারীরা রাজনৈতিক চেতনায় উজ্জীবিত ও সক্রিয় হতে লাগল। শ্রমিক আন্দোলনে অংশ নিল তারা। নারীবাদ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতেও। নারীবাদের উচ্চকিত কণ্ঠ শুনতে শুরু করল পৃথিবী।

নারীবাদের সংগ্রাম শুরু হয়েছিল সুনির্দিষ্ট কিছু অধিকার আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে। এসবের মধ্যে ছিল ভোট দেবার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, আইনগত অধিকার, সম্পত্তি লাভের অধিকার, ঘরের বাইরে গিয়ে রোজগার করার অধিকার, দাসত্ব থেকে মুক্তি ইত্যাদি। পিতৃতন্ত্রে পুরুষ নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা, আইন, ধর্ম এবং গণমাধ্যমে নারী তার অংশগ্রহণ দাবি করতে শুরু করল। ক্রমে নারীবাদের পরিধি বিস্তৃত ও বহুমুখী হল। নারী তার অধিকারের ব্যাপ্তি প্রসারিত করল।

Waves of feminism বা নারীবাদের তরঙ্গ

নারীবাদের সংগ্রামের ধারা কিংবা ইতিহাসকে সমাজতত্ত্ববিদরা ভাগ করেছেন চারটি ভাগে। এগুলোকে বলছেন -Waves of feminism। বাংলায় বললে নারীবাদের তরঙ্গ বা ঢেউ বা পর্যায়। প্রত্যেকটি পর্যায়কে উজ্জীবিত রেখেছেন বিশেষ কয়েকজন নারীবাদী ব্যাক্তি ও নারীবাদী সংগঠন, যারা নারীর জন্য অধিকার আদায়ে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে লড়াই করেছেন, এখনও করছেন।

প্রথম তরঙ্গ, ভোটের অধিকার ও অন্যান্য

উনিশ শতকের মাঝামাঝি আমেরিকা ও ইউরোপে নানা ক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে নারীবাদ তার কণ্ঠ তুলেছিল। তখন নারীবাদী বলতে ছিলেন মূলত শিক্ষিত শ্বেতাঙ্গ, মধ্যবিত্ত শ্রেণির কিছু সচেতন নারী। নারীবাদের প্রথম তরঙ্গে লড়াইয়ের মূল ইস্যুগুলো ছিল- সম্পত্তির অধিকার, পুরুষের সমান শিক্ষার সুযোগ, বিবাহ ও সন্তান সংক্রান্ত বিষয়ে সমঅধিকার এবং শেষমেষ উনিশ শতকের শেষে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতা চর্চার অধিকার আদায় নারীবাদ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে, যার প্রধান বিবেচ্য ছিল নারীর ভোট দেবার অধিকার।

ভোট দেবার যোগ্য নারী?

উনিশ শতকেও পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে নারীর ভোট দেবারই অধিকার ছিল না। সমাজের চিন্তার ধরণটি ছিল এমন- নারীর কাজ শুধু পরিবার আর গেরস্থালীর দেখাশুনা আর যত্নআত্তি করা। সেই সমাজে বেড়ে ওঠা মেয়েরাও ভাবতো, ভোটের সময় তাদের স্বামীরাই তাদের প্রতিনিধি হয়ে ভোট দিয়ে আসবে।

শিল্পবিপ্লবের পর পরিবর্তন আসতে শুরু করল। বহু নারী ঘরের বাইরে বের হলেন কাজের জন্য। ফলে নিজেদের রাজনৈতিক সামাজিক অধিকার নিয়ে ভাববার ও কথা বলার সুযোগ তৈরি হল তাদের জন্য।

ব্রিটেনে নারীর ভোটাধিকার নিয়ে কথাবার্তা শুরু হল। ১৮৬৫ তে ব্রিটিশ দার্শনিক, চিন্তক এবং আইনসভার সদস্য John Stuart Mill নারীদের ভোটাধিকার ইস্যুটি আইনসভায় উত্থাপন করলেন। বিভিন্ন সামাজিক অবস্থান ও নানা জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা নারীরা বিভিন্ন দলে সংগঠিত হয়ে নিজেদের ভোটাধিকারের কথা বলতে শুরু করলেন।

ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য নারীবাদীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে আন্দোলন করছিলেন।

Millicent Fawcett এর নেতৃত্বে একদল নারী (Suffragists) ভোটাধিকারের জন্য তাদের লড়াইয়ে জনসমর্থণ আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ কৌশল বেছে নিয়েছিলেন।

অন্যদিকে Emmeline Pankhurst ও তার কন্যাদের নেতৃত্বে লড়াইরত নারীরা (Suffragettes) দীর্ঘ বিশ বছর শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার পর মনে করলেন, অনেক কথা বলা হয়েছে, এবার আর শুধু কথা নয়, সাংঘাতিক কিছু একটা করে দেখাতে হবে। সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে কঠিন পথ বেছে নিতে হবে, মানে আইন ভাঙ্গতে হবে। কারণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে তারা গণমাধ্যমের নজর কাড়তে পারেননি।

এমেলিনের দলটি নানাভাবে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করল। যেমন- শেকলের সাথে নিজেদের বেধে রাখা, চিঠির বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়া, এমনকি রাজনীতিবিদদের বাড়িতেও। তারা গ্রেফতার হতে লাগলেন। জেলের ভেতরেও তারা অনশন করে প্রতিবাদ জারি রাখলেন। জেলখানায় তাদের উল্টো করে ঝুলিয়ে জোর করে নাকের ভেতর দিয়ে ফিডিং টিউব ঢুকিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করত কর্তৃপক্ষ, যা নির্যাতনের একটি রূপ।

এদিকে আন্দোলনকারীদের এরকম পরস্পরবিরোধী অবস্থান এবং তাদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের নিষ্ঠুর আচরণের কারণে নারীর ভোটাধিকারের লড়াইয়ের প্রতি জনমত ‘নারী বনাম পুরুষ’- এরকম দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেল।

১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে Emmeline Pankhurst প্রতিবাদের ভয়ানক কৌশল বাদ দিলেন। বরং তিনি সরকারের সাথে কাজ করতে শুরু করলেন যুদ্ধে নারীদের নিয়োগের বিষয়ে।

শেষমেষ নারীবাদিদের লড়াই সফলতার মুখ দেখলো। ১৯১৮ সালে ভোটাধিকার দেয়া হল ত্রিশ উর্ধ্ব সেইসব নারীদের যাদের নিজের সম্পত্তি রয়েছে। পরে ১৯২৮ সালে বয়সের সীমা কমিয়ে করা হয় ২১ বছর। তার মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই Emmeline Pankhurst (১৮৫৮-১৯২৮) মারা যান ভগ্নস্বাস্থ্য আর দীর্ঘদিনের পুলিশী নির্যাতনের কারণে।

যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যে নারীবাদিরা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা হলেন, Lucretia Mott, Lucy Stone, Elizabeth Cady Stanton ও Susan B. Anthony। এই নারীবাদিরা দাসপ্রথার বিরুদ্ধে ‍রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, পরে আমেরিকান নারীদের ভোট দিতে পারার অধিকার দাবিতে সোচ্চার হন। অবশেষে ১৯১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সংশোধনী (Nineteenth amendment) আনা হয়, যার ফলে সবগুলি স্টেটে ভোটাধিকার পান নারীরা।

Mary Wollstonecraft মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট (১৭৫৯-১৭৯৭)

শৈশবেই তার ভেতরের নারীবাদি সত্ত্বাটা জেগে উঠেছিল। মাতাল ভয়ংকর বাবার হাত থেকে মাকে রক্ষা করতে দরজা পাহারা দিতেন ছোট্ট মেরি। মনের ভেতরে ছিল রাগ, খেয়াল করেছিলেন তার চেয়ে তার ভাই স্কুলে বেশি সময় কাটাতে পারে। বুঝতে পারতেন, একদিন এই ভাই-ই হবেন সম্পত্তির উত্তরাধিকার।

এই প্রতিবাদী মেয়েটাই একদিন হয়ে উঠলেন নারীবাদের স্বপ্নদ্রষ্টা মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট। তিনি ছিলেন দার্শনিক, লেখক ও শিক্ষক। তাকে বলা হয়, নারীবাদের জননী। (Mother of feminism)। পশ্চিমে নারীবাদের জন্মলগ্নের যে বইগুলোকে এখনো নারীবাদের টেক্সট ধরা হয়, তার অন্যতম হল মেরি ওলস্টোনক্র্যাফটের লেখা ‘A vindication of the rights of Woman’। লেখেন ১৭৯২ তে। ভোটাধিকারের আন্দোলনের সময় তার এই বই আন্দোলনকারী নারীবাদিদের উজ্জীবিত করেছিল।

A vindication of the rights of Woman এ মেরি বলেছেন, নারী ও পুরুষ একই রকম যোগ্যতা ও সামর্থ্য নিয়ে জন্মায়। সে কারণে পুরুষের সমান শিক্ষাদীক্ষা, ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিপত্তি নারীরও প্রাপ্য। তিনি লিখেছেন, পুরুষকে বেশি সপ্রতিভ দেখায় নারীর চেয়ে। এর কারণ নারী পুরুষের মত শিক্ষার সুযোগ নারী পায় না।

তিনি লিখেছেন, “A mistaken education, a narrow, uncultivated mind, and many sexual prejudices, tend to make women more constant than men” (A vindication of the rights of Woman; পৃষ্ঠা-২৭)

অ্যাংলো আইরিশ এই নারীবাদি জন্মেছিলেন ১৭৫৯ সালে, লন্ডনে। বলা যায় তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত। ২৫ বছর বয়সে একজন বন্ধুর সাথে একটি স্কুল চালু করেন উত্তর পূর্ব লন্ডনে। স্কুলটি চলেনি। পরে এক অভিজাত পরিবারে গভর্নেসের কাজ নেন। মনে প্রাণে ঘৃণা করতেন কাজটা।

১৭৯০ সালে মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট লন্ডনে একজন প্রকাশকের সাথে কাজ করতে শুরু করেন। এ সময় একদল লেখক দার্শনিকের সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, সে সময় যারা Radical Thinkers বলে পরিচিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন Thomas Paine ও William Godwin। পরে ১৭৯২তে প্যারিসে তার সাথে পরিচয় হয় Gilbert Imlay’র। তাদের সম্পর্কের পরিনতিতে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান, তার নাম Fanny। Imlay এর সাথে একসময় সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। ১৭৯৭ এ মেরি বিয়ে করেন Godwinকে। কিন্তু সে বছরই কন্যা সন্তান জন্ম দেবার ১০ দিন পর মৃত্যু হয় নারীবাদের এই মহান লেখকের। মেরির এই কন্যা সন্তানটিই পরে বিখ্যাত লেখক Mary Shelley নামে পরিচিতি পান তার বিখ্যাত উপন্যাস ফ্রাংকেনস্টাইনের জন্য।

মেরি ওলস্টোনক্র্যাফটের A vindication of the rights of Woman এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত ও অনুদিত হচ্ছে। বইটার সূচনা বক্তব্যে মেরি লিখেছেন, “My own sex, I hope, will excuse me, if I treat them like rational creatures, instead of flattering their FASCINATING graces, and viewing them as if they were in a state of perpetual childhood, unable to stand alone. I earnestly wish to point out in what true dignity and human happiness consists—I wish to persuade women to endeavour to acquire strength, both of mind and body, and to convince them, that the soft phrases, susceptibility of heart, delicacy of sentiment, and refinement of taste, are almost synonymous with epithets of weakness, and that those beings who are only the objects of pity and that kind of love, which has been termed its sister, will soon become objects of contempt.” (A vindication of the rights of Woman; পৃষ্ঠা-১০)

লেখক- সাংবাদিক

চলবে

Exit mobile version