কুড়িগ্রামে ফেইসবুকে সংগৃহীত অর্থে খাদ্যসহায়তা প্রদান

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি::

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে করোনাভাইরাসের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া অর্ধশত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার দীনবন্ধু মিত্র’র ছেলে তপন কুমার ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। বিতরণকালে সেখানে স্থানীয় সংগঠন ‘ছায়া’সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল,  একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজিরকুটি গ্রামে রবিদাস পাড়ায় ২০টি পরিবার ও অন্যান্য এলাকায় ০৫টিসহ মোট ২৫টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ ও লবণ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে দুস্থ, অসহায় মানুষের চিকিৎসা, দরিদ্র শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ, গরীব মানুষের মেয়ের বিয়ে দেয়া প্রভৃতি কাজ করে আসছেন।

তপন কুমার জলেশ্বরী ডটকম’কে বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রাম। ২০১৪ সালের খানা জরিপের তথ্য মতে জেলায়  শতকরা প্রায় ৭১ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করেন। এই বৃহৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংসার চলে দিনমজুরির আয়ে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় কর্মবিরতির ফলে নিম্নআয়ের মানুষজন পথে বসেছেন। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে চলছে চরম খাদ্যসংকটও! আমরা টেলিভিশন এবং পত্রপত্রিকায় প্রতিনিয়ত সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ এর কথা দেখে আসছি কিন্তু বাস্তবে আমাদের এলাকার চিত্রটা একটু ভিন্ন। এ এলাকায় এখন পর্যন্ত সামান্য কিছু পরিবার মাত্র ১০ কেজি করে সরকারি চাল পেয়েছেন। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণেই আমার অবস্থান থেকে ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা।’

এ বিষয়ে ঘোগাদহ ইউপি চেয়ারম্যান জনাব শাহ্ আলম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, করোনাকালীন ত্রাণ কর্মসূচির আওতায় আমরা এ পর্যন্ত দফায় দফায় ১১ মে.টন,  ২ মে.টন ২৫০ কেজি,  ২ মে. টন ৭৫০ কেজি,  ১ মে. টন ও ৭৫০ (১০ কেজি প্রতি প্যাকেট) প্যাকেট চাল এবং ৪০ প্যাকেট শিশুখাদ্য বরাদ্দ পেয়েছি। তার মধ্যে সাড়ে ৩ মে. টন চাল জমা আছে বাকি সব বিতরণ করেছি। ঈদের আগে ভিজিএফ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর ১২৫৩ পরিবারের জন্য ২৫০০ টাকা করে পাওয়া যাবে।