কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি কমা বাড়া করলেও এখনো ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সোমবার সকালে ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারীতে ৫৭ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে টানা প্রায় একমাস ধরে দুর্ভোগে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ। অপরদিকে তিস্তা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে প্রচন্ড ভাঙন। একদিকে ভাঙন আর অন্যদিকে পানিবন্দী অবস্থায় চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। এদিকে বন্যার ফলে পানিতে ডুবে মারা গেছে ২২জন। এরমধ্যে ১৭জন শিশু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান।
টানা বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার পাঁচ ভাগের তিনভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬০ ইউনিয়নের প্রায় ৫শতাধিক গ্রামের সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। এতে ৫০ হাজার বাড়িঘর বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর ফসলী জমির ক্ষেত। বন্যায় ৫টি স্কুল ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো ১৩৯টি। এছাড়াও ৩৭ কিলোমিটার সড়কপথ ও ৩১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার।
এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৫০লক্ষ ৫০হাজার টাকা বিতরণ করেছি। ২ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য ও ২ লক্ষ টাকার গো-খাদ্য। এছাড়াও ৫ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছি।ঈদের আগে জেলার ৪লাখ ২৫হাজার মানুষকে ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।