জলেশ্বরী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মামলা দায়ের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::

প্রেমের ফেলে প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার পর প্রেমিক পালিয়ে গেছে। ঐ ছাত্রী পরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। দুইদিন ধরে অবস্থান শেষে পাত্তা না পেয়ে ধর্ষক ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ছাত্রীটি। এমন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার খড়িয়াটারী গ্রামে। পুলিশ পরে সে ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার দাশিয়ার ছড়া খড়িয়াটারী গ্রামের আফছার আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২০) এইচএসসিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি টংকারমোড়ে বাজারে একটি কম্পিউটার দোকান চালান। সেখানে সেই ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয়। তার পর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে উভয়ের মাঝে। লিটন মিয়া গত মঙ্গলবার সকালে মোবাইল ফোনের মাধমে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। সে জন্য পালিয়ে আসতে হবে তাকে। এমন কৌশল তৈরি করেন লিটন। মোবাইল ফোনে সব ঠিকঠাক করে এক পর্যায়ে লিটন ও তার বন্ধু একই গ্রামের আব্দুল মামুদের ছেলে ফরিদ (২১)কে পাঠিয়ে দেয় ছাত্রীকে নিয়ে আসার জন্য। বিকালে প্রেমিকের বন্ধুর সাথে চলে আসে ছাত্রী। পরে লিটন নিজের বাড়ীতে না নিয়ে কৌশলে পাশ্বর্বতী আবু মুন্সীর ফাঁকা বাড়ীতে নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে। পরে সেই ছাত্রীকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় লিটন ও তার বন্ধু ফরিদ। উপায়ান্ত না পেয়ে মেয়েটি প্রেমিকের বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেন। লিটন পলাতক থাকায় বুধবার রাতে মামলা করে মেয়েটি ।

নির্যাতিতা ছাত্রীর বড়ভাই জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিটন আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, ধর্ষনের অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version