বিশেষ প্রতিবেদন-
শারদীয় পুজা উপলক্ষে ২৩ অক্টোবর শুক্রবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হরিজন পল্লী বৈশ্যপাড়া মন্দির ও ঘোগাদহ কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে প্রায় শতাধিক বিধবা ও হতদরিদ্র নারীর মাঝে নতুন শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার দীনবন্ধু মিত্র’র ছেলে তপন কুমার ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
শাড়ি বিতরণকালে কুড়িগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক-এর জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর মতিউর রহমান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সাঈদ স্যাম উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শাড়ী হাতে পেয়ে স্থানীয় বৃদ্ধা মনো বালা বলেন ‘এবার পুজ্যাত করোনা আর বানের জৈন্যে কাপড়চোপড় কিচুই নিবের পাং নাই। এমার কাপড় পায়া খুব খুশি হছি। কাইল এইখ্যান পিন্দি পুষ্পাঞ্জলী দেইম বা।’
এর আগে করোনাকালীন লকডাউনের সময় তপন কুমার অত্র ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ ও লবণ বিতরণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে দুস্থ, অসহায় মানুষের চিকিৎসা, দরিদ্র শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ, গরীব মানুষের মেয়ের বিয়ে দেয়া প্রভৃতি কাজ করে আসছেন।
তপন কুমার জলেশ্বরী ডটকমকে বলেন, আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে প্রতিবার যাঁরা অর্থ দিয়ে থাকেন সকল কৃতিত্ব তাঁদের, আমি একটি মাধ্যম মাত্র।
বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রাম। ২০১৪ সালের খানা জরিপের তথ্য মতে জেলায় শতকরা প্রায় ৭১ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। অসহায় এ মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে পারলে আমি আত্মতৃপ্তি পাই।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরেও অত্র অঞ্চলের দারিদ্রতা ঘোচেনি বরং দিন দিন এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঞ্চলে দারিদ্রতার একটি মূল কারণ হলো বন্যা আর নদীভাঙন। প্রতিবছর বর্ষাকালে বিপুল সংখ্যক মানুষ নদীভাঙনের ফলে বাস্তুহারা হয়ে পড়েন। অত্র অঞ্চলের দারিদ্রতা দূরীকরণে স্থায়ীভাবে নদীব্যবস্থাপনা তথা নিয়মিত নদী খননের পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে একাধিক অর্থনৈতিক জোন চালু হওয়া দরকার।