জলেশ্বরী

কুড়িগ্রামের পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযােগ

উলিপুর প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় কােরবানির পশুর হাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। তাছাড়া বিধি বর্হিভূত ভাবে খাজনাসহ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযােগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছে থেকে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে চার গুণ বেশি পরিমান টাকা আদায় করায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকর কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযােগ করা হয়েছে।

ভূক্তভােগী পশু ক্রেতা-বিক্রেতা সূত্রে জানা যায়,উলিপুরে পশুর হাটের ইজারাদার বিধি বর্হিভূতভাবে হাটে আসা পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে চার গুণ বেশি অর্থ আদায় করছেন। নিয়ম অনুযায়ী হাটে আসা প্রতিটি গরু, মহিষ, ঘােড়া ক্রেতার নিকট হতে ২শ ২৫ টাকা, ছাগল, ভেড়ার জন্য ১শ টাকা হারে আদায় করার কথা। বিক্রেতার নিকট হতে কােন খাজনা আদায় করার বিধি নেই। কিন্তু ইজারাদার উভয় পক্ষের কাছ থেকে খাজনা আদায় করলেও রশিদ বইয়ে কোন টাকার পরিমাণ লেখা হচ্ছে না।

সপ্তাহে সােমবার ও বৃহস্পতিবার উলিপুরে পশুর হাট বসে। এদিকে সরকার লকডাউন শিথিল করায় মহামারী করােনা কালে পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি মানার কােন বালাই নেই।
ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি একটি গরু কিনলাম কোরবানির জন্য। খাজনা নিয়েছে ৫শ টাকা। হাটের কোথাও খাজনা কত করে দিতে হবে তার তালিকা দেয়া নেই। রশীদ দিলো কিন্তু সেখানে আমি যে টাকাটা দিলাম সেটাও লেখা নেই। শুধু হাতের স্বাক্ষর করা রশীদ দিলো।

বিক্রেতা রফিক বলেন,করোনার মধ্যে আমাদের আয় রোজগার নেই বললেই চলে। বহু কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। হাটে গরু বিক্রি করতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ইজারাদাররা গরু ও মহিষ বিক্রেতার কাছ থেকে ৩শ টাকা করে আদায় করছে। আবার ক্রেতার কাছেও নিচ্ছে টাকা। লাভের উপর লাভ করছে হাটের লোকজন।

বিক্রেতা জব্বার মিয়া বলেন,ছাগল ও ভেড়ার জন্য ক্রেতার কাছে ৩শ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে ২শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী শুধু মাত্র ক্রেতার কাছে খাজনা আদায় করার কথা থাকলও তা মানা হচ্ছে না। চার গুণ বেশি অর্থ আদায় করলেও খাজনা রশিদে তা লেখা হচ্ছে না।

অভিযোগকারী আপেল মাহমুদ বলেন,বিধি নিষেধ তোয়াক্কা না করে মানুষকে ঠকিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিকার চেয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে লিখিত অভিযােগ করেছি।

উলিপুর কোরবানির পশুর হাটের ইজারাদার কয়ছার আলীর ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন বন্ধ থাকায় কথা হয়নি।

উলিপুর পৌরসভার মেয়র মামুন সরকার মিঠু বলেন, পশুর হাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয় কেউ আমার কাছ অভিযােগ করেনি। বিষয়টি আমি খােঁজ খবর নিয়ে দেখছি। কেউ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করল তা বেআইনী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার মহােদয়ের কাছে অভিযােগ করা হয়েছে। অভিযােগের অনুলিপি আমি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ইজারাদার এবং পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা বলছি। ইজারাদার যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন তা বিধি বর্হিভূত হবে।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি ইজারাদারকে নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে দ্রুতই প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version