কুড়িগ্রামের উলিপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা’র বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রাণীমূলক মামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।

শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব, উলিপুর হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম। এসময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানান, কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই আতাউর রহমান আতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরাজিত প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯জুনের একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে ১৮দিন পর গত ২৭জুন মোহনা আক্তার নামে এক গৃহবধু উলিপুর থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি সাজানো ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পরাজিত প্রার্থীদের যোগসাজসে এই হয়রানীমূলক মামলাটি পুলিশ তদন্ত ছাড়াই নথিভূক্ত করে। সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জনিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানায় বিবাদীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম আরো জানান, মামলার বাদী মোহনা আক্তার ঘটনার দিন (৯জুন) স্বামী সন্তানসহ আমাদের বাড়ীতে আসেন জনগণনায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য। সেদিন সকালে আমি তাদেরকে নাস্তা খাওয়াই। এরপর তারা জনশুমারির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেতরাই বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে যান।

এর ১৮দিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষনচেষ্টা মামলা করা হয়। সাক্ষি করেন তার আপন ভাসুর ফিরোজ আলম ও তার আপন মামা শ্বশুর লিয়াকত আলীকে। যারা ওই দিন আমাদের বাড়িতেই আসেনি। আরো দুঃখজনক ঘটনা হল মামলাটি ‘উলিপুর থানা পুলিশ তদন্ত’ ছাড়াই নথিভুক্ত করেন। যা আমাদের জন্য হতাশাজনক।

তিনি আরো জানান, বাদী মোহনা আক্তারের স্বামী ফেরদৌস একজন মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারী। আবার মোহনা আক্তার চলতি বছরের মার্চ মাসে কিশোর-কিশোরীদের ভাতার কথা বলে ৪৬ জনের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা গ্রহণ করে। পাশাপাশি প্রতিবেশী বেবী আক্তারের কাছ থেকে নকল গয়না বন্ধক রেখে মোহনা আক্তার দেড়লক্ষ টাকা ধার নেন। এঘটনায় উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মোহনা আক্তারের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, সালিশ বৈঠকের কারণে মামলা করতে ১৮দিন সময় লাগে। তাদের অভিযোগগুলো মিথ্যা। তবে অন্য অভিযোগগুলোর সাথে এ ঘটনার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী আব্দুল বাতেন, মিজানুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ জানান, বাদীর পরিবারটি অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মামলাটি করে থাকতে পারে। বাদীর পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম, ভাতিজি জেসমিন আক্তার, ফুফু শাহনাজ পারভীনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ কবির জানান, ধর্ষণের অভিযোগের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে আইনগতভাবে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার কোন সুযোগ নেই। তারপরও বিবেচনা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *