জলেশ্বরী রিপোর্ট ::
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন ও উচ্চতর মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে আইইসি
(ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কলেজ)র শুরু হওয়া শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ শেষ হলোভ। ধানমণ্ডির ৩৯/এ নং বাড়িতে কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত-অনিয়মিত ২০ জন শিক্ষক।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রবর্তিত নতুন কারিকুলাম সকল বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষদের মাঝে বিস্তরণের আগেই ২০২৪ সালের সিলেবাসভিত্তিক বিএড প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এমতাবস্তায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জানার জন্য জরুরি হয়ে পড়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার। জানা গেছে, প্রয়োজন বিবেচনায় আইইসি দফায় দফায় আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করবে খুব শীঘ্রই।
এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকরা প্রশিক্ষণার্থীদের নতুন কারিকুলামে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লাসে পড়ানোর ধরন, প্রশ্নপত্র তৈরির কাঠামো, মানবণ্টন প্রক্রিয়া ও মূল্যায়ন পদ্ধতি শেখানো হয়। বিশেষত এনসিটিবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে সমন্বয় সাধন করে প্রতিটি গুচ্ছের জন্য একটি করে মডেল পাঠপরিকল্পনা তৈরি করা হয়। যা বিষয় বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শক্রমে ফাইনাল করা হবে এবং সেই চূড়ান্ত পাঠ পরিকল্পনাটি প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের নিজ নিজ টিচিং প্রাকটিসের সময় অনুসরণ করবে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.নজরুল ইসলাম খান ও সহকারী অধ্যাপক তপন কুমার রায়।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ড. নজরুল ইসলাম খান বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের এই কর্মশালা অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা রাখবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ শিক্ষক তৈরি করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।
আরেক প্রশিক্ষক তপন কুমার রায় বলেন, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজটি দক্ষ ও মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। তাই বিগত বছরগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যেমন সর্বোচ্চ ফলাফল করে আসছে, তেমনি প্রশিক্ষিত শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ভুমিকা রাখছে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক লাইলী বেগম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিকিউআই-টু প্রজেক্ট ২০১৬ সালে ঘোষিত ৫টি সেরা বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কলেজ একটি। তাই এই প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণের মান ও ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। আশা করছি ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণের মান উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে এবং কলেজটি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোর মধ্যে একটি মডেল কলেজ হিসেবে রূপান্তর হবে।