জলেশ্বরী

পড়ালেখা কাউকে ব্রাম্মণ কাউকে নমশূদ্র করে না

মাসকাওয়াথ আহসান:

“রেলে ২,১৭২ ওয়েম্যান নিয়োগ
রেলপথের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরি পাওয়াদের সবাই স্নাতকোত্তর”, এই খবরটি নিয়ে ফেসবুকে হা-হুতাশ ও দীর্ঘশ্বাস লক্ষ্য করছিলাম। এটা আসলে কাস্ট সিস্টেমের চোখে “পেশা”-কে দেখার মনোস্তত্ব।

পশ্চিমা সভ্যতায় প্রতিটি কাজকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। ট্রামে পাশাপাশি বসে গল্প করতে করতে যান শ্রমিক ও সিইও। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই তো সভ্যতার সূচক।

ক্লিনিং একটি আর্ট। জেন যি যেহেতু আগের প্রজন্মের সৃষ্ট জঞ্জাল সাফ করতে চায়; তাই তারা গৃহ-অফিস পরিষ্কার করা থেকে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করার কাজটির মধ্যে আনন্দ পায়। স্কুলে পড়ার সময় তারা স্বেচ্ছায় ক্লিনিং বিষয়টি অনুশীলন করে।

কিন্তু আমাদের একবিংশের নিওস্টোন এইজ বা নব্য প্রস্তর যুগ যেহেতু বিসিএস ও পার্টির সহাসভাপতি হয়ে ঘুষ, দখল, চাঁদাবাজি ও টাকাপাচারের স্বপ্নে বিলীন; এইখানে কাস্ট সিস্টেমের অস্থিধারণ করে গড়ে উঠেছে নব্যব্রাহ্মণ্যবাদ ; তাই স্নাতকোত্তর কেউ পরিছন্নতা কর্মীর কাজ করলে তা যেন দলিত বা অস্পৃশ্য হবার শ্লাঘা এই খেলনা সমাজের চোখে।

এইরকম বেনজীর সমাজে বসে কোন প্রগতির স্বপ্ন দেখি আমরা!

Exit mobile version