আর্তচিৎকার ছিল সর্বোচ্চ তোমার কণ্ঠস্বরে
সেটাই আখেরে ওকে মৃত্যু থেকে সমুদ্ধার করে।
বাঁচার ছিল না সম্ভাবনা ন্যূনতম তুমি জানো
তর্কের খাতিরে সেটা আজ মানো আর না-ই মানো।
বিনা মেঘে বজ্রপাত শেষ করে দিলে লেনাদেনা
এটাই করবে যদি সেদিনই কি করাটা যেত না?
একমেবাঅদ্বিতীয়া তোমাকেই শেষবার দেখে
অমৃত্যুতে ফিরে যেত তোমাকেই ছুঁয়ে মৃত্যু থেকে।
একদা ঘুমিয়েছিল ও তোমারই পাদপদ্মদেশে
সচ্চিদানন্দের মত মাথা রেখে এক রাত্রিশেষে
সেই রাত আদাবরে কিছুই ভাঙেনি ঝঞ্ঝাঝড়ে
এই সেদিনের কথা তোমার কি কিছু মনে পড়ে?
ঘুমিয়ে যেতাম ঠিক সেভাবেই শেষবার আমি
ঘুমিয়ে যেতাম স্বর্গাধিক সুখে জানে অন্তর্যামী।
পেরিয়ে কত না জন্মান্তর তবে তুমি মিলেছিলে
কোন কৃষ্ণগহ্বর তোমাকেই কেন কেড়ে নিলে?
চলে গেলে তুমি আর সমূহ সময় গেল থেমে
অমৃত্যু চেয়েছি প্রেমে মৃত্যুও কি চাইনিকো প্রেমে?
যত অভিশাপই দাও নেবোনাকো মৃত্যুর অধিক
অমৃত্যু ছিল না নিয়ন্ত্রণে মৃত্যু থাকবেই ঠিক।
ভালো তো বাসিই আমি কিন্তু কতটা যে ভালোবাসি
জবাবটা দেব যদি তোমার কাছেই ফিরে আসি
কোনো এক পুনর্জন্মে এখানে বা অন্য কোনোখানে
এটা এক আমি নই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই জানে।
গৃহগ্রহে তুমি নেই আর কেউ নেই কিছু নেই
এখানে থাকারও আর মানেই হয় না কিছুতেই।
যেটাই ঘটুক জানবে না কোনো কাকপক্ষীটিও
অগ্নিশুদ্ধতমা তুমি ভালো থেকো ভালোবাসা নিও।
লেখক,কবি,গবেষক ও উন্নয়নকর্মী