আমার বাড়ির
দুবাড়ি পর হৈমবতীর বাড়ি।
সে এখন যৌবনবতী।
আমাদের
গ্রামের পেছন দিয়ে
চলে গেছে
হিসনা নদী।
নদী ভীষণ শুকিয়ে গেছে,
ঢেউ নেই
স্রোত নেই
নদী হয় অপমান।
যৌবন হারিয়ে
লজ্জায় ঈর্ষায়
বলেছে সে নদী—
যুবতী হৈমবতী
যেন তার বুকে
করে নাকো আর স্নান।
হৈমবতী,
নদীরও সুদিন ছিল,
একদা দারুণ
ঢেউ খেলে যেত মনে।
তোমার দাপুটে ঢেউ
উথাল যৌবন
মৃতপ্রায় নদী
বলতো এখন
রাখবে কোথায়
এমন স্বল্প জলে!
হৈমবতী,
তুমি আর দিয়ো নাকো
হিসনার বুকে ডুব।
দ্যাখো —
বুকেতে ভীষণ ঢেউ
আর স্বচ্ছল স্রোত নিয়ে
তোমার স্নানের
অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে আছি
বহুদিন
আমি নিশ্চুপ।
(কবি ও গল্পকার)