ভাতের কষ্টে না মরলেও শীতের কামড়ে মরতে হয়

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় ও কনকনে শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষজন ও পশুপাখিরা রেহাই পাচ্ছে না। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতকষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বাধ্য হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে অনেকে

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন এ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবিদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চারশতাধিক চর ও দ্বীপ চরের শিশু ও বৃদ্ধরা।

সদরের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা নন্দলাল রবিদাস বলেন,’ঠান্ডার কারনে দুদিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই আজ নিরুপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

জেলা সদরের জুরাবান্ধা এলাকার খাইরুন বেওয়া জানান, রাতে কুয়াশায় ঘরের চালের হিম টিন গলে বিছানায় পড়ে শরীর ভিজে যায়। ঘরে গরম কাপড় নেই। খুব কষ্টে আছি।

সেনের খামার এলাকার বাঁধ পাড়ের জড়িনা বেওয়া (৮০) জানান, নদীর পাড়ের বাতাস ভাঙা ঘরের বেড়া আটকাতে পারে না। জিরজির করে বাতাস এসে শরীরে কামড় দেয়। ভাতের জন্য না মরলেও ঠাণ্ডায় মরতে হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *