কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
১২ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন জেলা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে শহর জুড়ে শোভা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বেড়িয়ে আসবে পরিক্ষিত নতুন নেতৃত্ব।
জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৩টি উপজেলার সম্মেলন শেষ করতে পেরেছে জেলা আওয়ামীলীগ। এমন অবস্থায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা সম্মেলন। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এই সম্মেলনে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন নতুন নেতৃত্ব। নতুন-পুরাতন কে আসবেন এই নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে দলের ভিতর নেতৃত্ব নির্বাচনে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।
জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান জানান, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্তে সবাই ঐক্যমত পোষন করবে এবং জননেত্রীর সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করবে।
৩বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা সম্মেলন। তবে নতুন নেতৃত্বের দাবীদাররা বলছেন নির্বাচিত হলে ৩ বছর পর পর সম্মেলনের ব্যবস্থা করবেন। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন অনেক নেতাকর্মী।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, সম্মেলন মানেই নেতৃত্র তৈরির একটি সুযোগ। কুড়িগ্রামের যে জেলা সম্মেলন আমাদের এ পশ্চাদপদ জনপদে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্রের মাধ্যমে সকল আকাংখা পুরণের একটা সুযোগ তৈরি করে দিবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে সিদ্ধান্ত পরিচ্ছন্ন ও যোগ্যতম নেতৃত্র সৃষ্টি করা। এইজন্য আমি মনে করি যে প্রধানমন্ত্রী সঠিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা বিশ্বাস করি। তবে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত থেকে কাজ করার কথা জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা সম্মেলনে ৯ উপজেলা, ৩ পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলররা নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। সম্মেলনের উদ্ভোদক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রæয়ারীর সম্মেলনে সভাপতি পদে আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল এবং সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ জাফর আলী নির্বাচিত হয়েছিলেন।