নাগেশ্বরী প্রতিনিধি ::
বৃহস্পতিবার নাগেশ্বরীর দুইজনের করোনা শনাক্তের ফল আসে। তারা দুজনই স্বামী-স্ত্রী। স্বামী নাগেশ্বরীর কলেজমোড়ের আর্কেডিয়া ডায়াগনসিস সেন্টারের ল্যাব টেকনোলজিস্ট। তার বাড়ি পৌর এলাকার বাগডাঙ্গা গ্রামে। থাকেন উপজেলা সদরের হাজিপাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে। শনাক্তের দিন তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন।
আর্কেডিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ও মালিক ডা. আমিনুর রহমান লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কন্সালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। গত শুক্রবার ডা. আমিনুর রহমানের স্ত্রীর করোনা পজেটিভ ফল আসে। শুক্রবার সারাদিন ডা. আমিনুর রহমান আর্কেডিয়ায় রোগী দেখেছেন। এর আগে লালমনিরহাটে নমুনা দেন ডাক্তার নিজে। তবে তার ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। পরে রংপুরে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের নমুনা দিলে দুই সন্তানের নেগেটিভ আসলেও স্ত্রীর পজিটিভ আসে।
ডা. আমিনুর রহমান জানান, তিনি সর্বশেষ গত শুক্রবার রোগী দেখেছেন। এরপর ওই ছেলে ল্যাবে ছিল কিনা তিনি জানেন না। ওইদিন তার স্ত্রীর পজিটিভ আসায় তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। তার নেগেটিভ এসেছে বলে জানান।
এদিকে কলেজমোড়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আর্কেডিয়া ডায়াগনসিস খোলা ছিল এবং ওই ল্যাব টেকনোলজিস্ট সারাদিন ল্যাবে কাজ করেছেন। বন্ধ করার পর বাড়ি গেলে ফলাফল আসে সে করোনা পজেটিভ।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গত ১১ মে তাদের নমুনা নেয়া হয়। আজ পজিটিভ এসেছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের সবার নমুনা নেয়া হবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহম্মেদ মাসুম জানান, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে রয়েছে। ওই বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে ওইদিন সেসব রোগী সেবা নিয়েছিল বা কন্টাক্টে এসেছিল। সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। জেলায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এরমধ্যে ছয়জন সুস্থ হয়েছেন।