কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ বাজারে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে ক্যাশ আউট বাবদ অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। করোনা মহামারীর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য দেয়া ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’ হিসেবে আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা প্রাপ্তদের কাছে ক্যাশ আউট বাবদ নূন্যতম ৫০/- হতে সর্বোচ্চ ২০০/- পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা দাবী করছে এজেন্টরা। ঘোগাদহ ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী এ অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘ছায়া’র সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জলেশ্বরী ডটকমকে বলেন- ‘এ বিষয়ে আমরা অনলাইন ও অফলাইনে এজেন্ট এবং উপকারভোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি সতর্কতামূলক পোস্ট দেয়ার পর অনেকেই অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ব্যাপারে অভিযোগ করছেন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে; যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযুক্ত একাধিক ব্যবসায়ীর মধ্যে মো. রেজাউল করিম জলেশ্বরী ডটকম কে বলেন, ‘সাঈদী নামের একজন আমার কাছে টাকা তুলতে এসেছিল, আমি তার কাছে ৫০ টাকা চেয়েছি। তিনিও দেননি আমিও টাকা উঠিয়ে দেইনি। সাঈদী আমার ভাগ্নে হয়, তাই টাকা চেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন ‘এই টাকা ডিস্ট্রিবিউটর ছাড়া কেউ ক্যাশ দিতে পারবে না। কুড়িগ্রামে ডিস্ট্রিবিউটর নাই। আমি কাউকে ক্যাশ দিলে আমাকে ইউনিয়ন থেকে জেলা সদরে গিয়ে ক্যাশ করে আনতে হবে। সেটাও সময় সাপেক্ষ।’
কুড়িগ্রাম সদরের আরেক বিকাশ এজেন্ট মোকসেদ আলী জানায়, ‘আমার কাছে এখনও কেউ টাকা উঠাতে আসেনি। আমিও এভাবে টাকা নেওয়ার কথা শুনেছি। কিছু এজেন্ট যেমন সু্যোগ নিচ্ছে এভাবে, আবার কিছু মানুষ এতো বেশি অসচেতন যে কেউ টাকা চাইলেই দিয়ে দেয়।’