কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
করোনা সংক্রোমন ঠেকাতে ২৩জুলাই শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চলমান রয়েছে কাগজেকলমে। বাস্তবতা পুরাই ভিন্নতর। কেউ মানছে না কোন নিয়মকানুন। প্রশাসনও যেন দায়সারাভাবে তদারকি করছে। তাইতো প্রশাসনের চোখ আড়াল করে, বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় আয়োজনে ঈদ আনন্দ উৎসবে পুরস্কার বিতরণ করলেন খোদ ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট সরদারটারী গ্রামে। গত শনিবার বিকাল তিনটা থেকে সন্ধা পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারী-মাদারগঞ্জ সড়কের পাশে এই ঈদ আনন্দ মেলার আয়োজন করে স্থানীয়রা।
এই আনন্দ আয়োজন দেখতে আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের শত-শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ পথচারীদের ভীড় জমে ওঠে। জনসমাগমে গাদাগাদি করে দর্শকদের এসব আয়োজন উপভোগ করতে দেখা যায়। ছিল না কোন স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা। আয়োজনে রশি টানা, যুবকদের টায়ার টানা, চোখ বেঁধে হাঁড়ি ভাঙ্গাসহ হাডুডুসহ গ্রামীণ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই খেলা শেষে ঘটা করে ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন।
আয়োজক এনামূল হক বলেন, এই সময়ে এরকম আয়োজন করাটা ভুল হয়েছে। তবে আমি আয়োজনে ছিলাম না। গ্রামের উঠতি বয়সি কিছু যুবক এটা করেছে। পরে আমি এই আয়োজন দ্রুত শেষ করতে বলি।
কেদার ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বলেন, আয়োজনটির বিষয়ে আগে থেকে জানতাম না এবং আমি অতিথিও ছিলাম না। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খেলাধুলা সহ সব আয়োজন বন্ধ করে দেই।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, ঈদ আনন্দ উৎসব সম্পর্কে কেউ আমাকে অবগত করেনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম বলেন, এ সম্পর্কে জানা ছিলো না। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষক যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।