কুড়িগ্রামে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার দায়ে স্বামী আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মোখলেসুর রহমান (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত সাহেরা বেগম (৪০) উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মো: মোখলেছুর রহমান পলাতক ছিলেন। পরে দিনাজপুর শহর থেকে তাকে আটক করা হয়।

নিহতের মা’সহ পরিবারের লোকজনের দাবি পারিবারিক কলহের জেরে শাহেরার স্বামী তাকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখে তালাবদ্ধ করে পালিয়েছিলো।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোখলেসুর রহমান (৪৫) ও সাহেরা বেগম (৪০ ) তাদের ২৫ বছরের সংসার।

বিবাহের পর থেকে মোখলেসুর রহমান তার শ্বশুর বাড়ি কুড়িগ্রাম বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামে থাকতেন। তাদের দুই মেয়ের বিবাহ দিয়েছে ও এক ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। পারিবারিক কোন্দল ছিলো দীর্ঘদিনের ।

বুধবার(৩০ নভেম্বর) বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দুজনেই শুধু ছিল। দুপুর বেলা কথা কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে জবাই করে, ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। পরে রাত ৭টার দিকে নিহতের ছেলে মো: শামীম কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে তালা ভেঙ্গে তার মাকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আসামি মুখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত শাহেরা বেগমের মা ফাতেমা বেগম বলেন,’আমার জামাই মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। আমি সারাদিন বাইরে ছিলাম। খবর শুনে এসে মেয়ের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, পুলিশ পোস্টিং ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জের টিকুর সাল খুঁড়িয়া এলাকা থেকে মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাÐে ব্যবহৃত ধারালো রাম দা টিও উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *