চিলমারী প্রতিনিধি ::
চিলমারীতে কৃষকদের জমিতে বিরি-২৮ জাতের ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে এ জাতের ধানে পোকার আক্রমণ হওয়া স্বাভাবিক বলে জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ। পুরাতন জাতের ধান হওয়ায় তা না লাগার পরামর্শ কৃষি কর্মকর্তার।
জানা গেছে জেলার চিলমারী উপজেলার অনেক জায়গায় কৃষকরা তাদের জমিতে লাগিয়েছেন বিরি-২৮ জাতের ধান।এখন ধান গাছ বেড়ে ওঠার মুহুর্তে গোটা এলাকা বিরি-২৮ জাতের ধানে ব্যাপকভাবে ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ দেখা দেয়ায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তবে পোকা দমলে পরিচর্যা করলেও কোন ফলাফল না পাওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলার বালাবাড়ীহাট এলাকার কৃষক মোঃ যুবরাজ মিয়া জানান, আমি কিছু জমিতে বিরি-২৮ জাতের ধান লাগিয়েছি। এর প্রায় ২বিঘা জমিতে ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কেবল মাত্র ধানে শীষ বের হবার পর শিষের গোঁড়ায় পচন ধরে শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ধানগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে এবং চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাজার থেকে কীটনাশক কিনে স্প্রে করার পরও কোন ফলাফল পাচ্ছিনা।এ কারনে ধান কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস জানান, বিরি-২৮ একটি অতি পুরাতন জাত। গত বছর এ উপজেলায় এ ধান না লাগাতে বারণ করে মাইকিং করা হয়। এর বিকল্প হিসেবে বিরি-৮৮,৮৯ ও ৯০ জাতের ধান চাষের পরামর্শ কৃষকদেরকে দিয়ে আসছি। এরপরও অনেকেই অসচেতনভাবে এ ধান চাষ করেছেন। আমাদের পরামর্শ মোতাবেক বি আর-২৮ জাতের ধান চাষে সঠিক সময়ে পরিচর্যা করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আমরা কৃষকদের যথাযথভাবে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করে আসছি।